সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ‘সেফ্টি’ সংশ্লিষ্ট ঘটনা বাংলাদেশে এক ধরণের আলোড়ন তৈরি করেছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস্ কারাখানায় আগুন লাগার ঘটনা সবচেয়ে বেশী আলোচিত হচ্ছে। তবে গার্মেন্টস কারখানা ছাড়াও অন্যান্য ‘সেফ্টি’ সংশ্লিষ্ট ঘটনা যা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত নাড়া দিয়ে যাচ্ছে সেগুলো হলো সড়ক দূর্ঘটনা, লঞ্চ ডুবি, বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়া, মার্কেটে ও বাড়িতে আগুন, ইত্যাদি। পত্রিকার পাতা খুললে প্রতিদিনই কোনো না কোনো দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্র, সমাজ, বা আমরা কি যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি সেই দূর্ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি এড়াতে?
বাংলাদেশের ‘সেফ্টি’ সংস্কৃতি হচ্ছে মুলত ‘প্রতিক্রিয়ামুলক’ (reactive)। অর্থাৎ দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে আমারা ভাবি, ‘হায়, এটা কি হলো, কেনো হলো, ইত্যাদি ইত্যাদি’। কিন্তু ফলপ্রসু ‘সেফ্টি’ সংস্কৃতি হলো ‘ক্রিয়ামুলক’ (pro-active)। সেক্ষেত্রে আগে থেকেই ভাবা হয় কি ধরণের অনাকাংক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে এবং সেই অনাকাংক্ষিত ঘটনাগুলো কিভাবে এড়ানো সম্ভব।
এটা ঠিক যে উন্নত দেশগুলোতেও অনেক দূর্ঘটনা ঘটে। শিল্প বিপ্লবের সময়, এমনকি কয়েক দশক আগেও, পৃথিবীর বেশীরভাগ দেশে ফলপ্রসু ‘সেফ্টি’ সংস্কৃতি ছিলো না। তাই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভাবলে, এই ঘটনাগুলোকে অন্য দৃষ্টিতেও দেখা সম্ভব।
তবে এই দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে, বাংলাদেশের ‘সেফ্টি’ সংস্কৃতিকে ‘ক্রিয়ামুলক’ করার কোনো বিকল্প নেই। অন্যের কথা শুনে নয় -আমার, আপনার, আমাদের সকলের বেঁচে থাকার আধিকার নিশ্চিত করতে, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার নিশ্চিত করতে, এবং দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করতে – আমাদেরকে নিজ উদ্যোগেই দেশে একটি ফলপ্রসু ‘সেফ্টি’ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
মূলত এই উদ্যেশ্যকে মাথায় রেখে এই ব্লগ সাইটে পোস্ট করা হবে বিভিন্ন ‘সেফ্টি’ বিষয়ক আলোচনা। আপনার মন্তব্যও আমরা শুনতে চাই।